ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত কশৌলি, তার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সুন্দর আবহাওয়ার দরুণ, এই অঞ্চলের একটি খুবই জনপ্রিয় শহর। এই শহরে বেশ কিছু সংখ্যক ইতিহাস বিজড়িত আকর্ষণ বিদ্যমান।
মাঙ্কি পয়েন্ট : মাঙ্কি নামক একজন ঋষির নামানুসারে এই পাহাড়টির নাম রাখা হয়েছিল। যেখানে মন্দিরটি নির্মিত রয়েছে, ইনি সেই স্থানটিকে প্রভু হনুমানের পূজার্চনার জন্য ব্যবহার করতেন। এই মন্দিরটি বর্তমানে এই অঞ্চলে বসবাসকারী বিমান বাহিনীর কর্মী (এয়্যার ফোর্স পারসোনেল)-দের দ্বারা সুপরিচর্যিত রয়েছে এবং উপর থেকে একটি চমৎকার দৃশ্য প্রদান করে।
বাবা বালক নাথ মন্দির : মন্দিরটি বাবা বালক নাথকে উৎসর্গীকৃত, একটি পাহাড়ের একবারে চূড়ায়, গড়খাল-এ অবস্থিত। বাবা বালক নাথ হলেন ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর পু্ত্রের এক অবতার স্বরূপ প্রভু কার্ত্তিকেয়।
সিরডি সাই বাবা মন্দির : জয়পুরে নির্মিত সাই বাবার মূ্র্তি সমন্বিত মন্দিরটি 1989 সালে নির্মিত হয়। মন্দিরের মধ্যে একটি শিখা বা জ্যোতি রয়েছে; যেটি মন্দিরের সূচনা থেকে অনবরত জ্বলছে যা সাই বাবার অবিনশ্বর ঐশ্বরিক ক্ষমতার প্রকাশ স্বরূপ।
গির্জাসমূহ : কশৌলিতে খ্রীষ্টের চার্চ বা গির্জা এবং ব্যাপটিস্ট চার্চ হল এই অঞ্চলের ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের দুটি চমৎকার নিদর্শন এবং পর্যটকদের মধ্যেও বেশ জনপ্রিয়।
হাইকিং : কশৌলি-তে হাইকিং বা পর্বতারোহণ বেশ জনপ্রিয় এবং মাঙ্কি পয়েন্ট হাইকিং-এর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান।
কশৌলিতে, পর্যটকদের জন্য বেশ কিছু সংখ্যক বাসস্থানের বিকল্প উপলব্ধ আছে। দ্য রোস কমন্, পর্যটকদের এক ভালো দামী থাকার ব্যবস্থা নিবেদন করে। যাদের অর্থ খরচের কোনও সমস্যা নেই, তারা কশৌলি রিসর্ট ও ইউ.এন.এ কমফোর্ট কশৌলি এক্সোটিকায় গিয়ে দেখতে পারেন।
শহরটি হিমাচল প্রদেশের, সোলান জেলায় অবস্থিত।
বিমান মাধ্যমে
নিকটবর্তী বিমানবন্দরটি, চন্ডীগড়ে অবস্হিত, যা কশৌলি থেকে প্রায় 53 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং গাড়ির মাধ্যমে শহরটিতে পৌঁছাতে প্রায় দেড় ঘন্টা সময় লাগে।
রেল মাধ্যমে
কালকা রেলওয়ে স্টেশন হল কশৌলির সবচেয়ে সান্নিধ্যতম প্রশস্ত গেজ রেল স্টেশন। স্টেশনটি প্রায় 25 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক ঘন্টার মধ্যেই কশৌলিতে পৌঁছে যাবেন।
সড়ক মাধ্যমে
এই অঞ্চলের সড়কগুলি বেশ সু-পরিচর্যিত এবং এখানে প্রচুর বাস ও ট্যাক্সি রয়েছে যেগুলি প্রধান প্রধান শহরগুলি থেকে উপলব্ধ হয়; যেমন – দিল্লী, চন্ডীগড়, সিমলা এবং কালকা।
গ্রীষ্মকালে এখানে তাপমাত্রা বেশ মনোরম থাকায়, এটিই হল কশৌলি পরিদর্শনের সেরা সময়।
* সর্বশেষ সংযোজন : July 17, 2015