টিবের নদী জুড়ে নির্মিত সেন্ট পিটার’স ব্যাসিলিকা বা সেন্ট পিটারের রাজপ্রাসাদ হল ইতালির সবচেয়ে এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিভ্রমণমূলক স্থান। এটি সেই স্থান যেখানে 64 খ্রীষ্টাব্দে মূখ্য প্রেরিত ভাববাদিতুল্য পিতা সেন্ট পিটার ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে শহীদ হন এবং তাঁকে সমাহিত করা হয়। যেহেতু সেন্ট পিটার সর্বপ্রথম পোপ হিসাবে বিবেচিত ছিলেন, তাই পোপ বাদী ব্যাক্তিরা এখানে একটি গির্জা নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রকৃতপক্ষে, গির্জাটি “গাইয়ুসের স্মারক” এবং সেন্ট পিটারের সমাহিত নির্মাণ কেন্দ্রস্থল তৈরির জন্য এটির স্থাপণ করা হয়। মনুম্যান্ট বা স্মৃতিস্তম্ভটি হল কয়েক বছর ধরে অর্জিত শৈল্পিক শ্রেষ্ঠত্বের একটি সূক্ষ্ম নিদর্শন। গির্জাটি ইতালির সবচেয়ে বিখ্যাত শেফস-ডি’উভ্রে বা শিল্পীর আবাসস্থল, যার মধ্যে রয়েছেন মাইকেল এঞ্জেলোর পিয়েটা, তাঁর আকর্ষণীয় গম্বুজ ও বারনিনির শামিয়ানা (ক্যানপি) বেদীর উপর স্থাপিত রয়েছে। গির্জাটিতে একসঙ্গে প্রায় 20,000 জনসাধারণের জমায়েতের সুবন্দোবস্ত রয়েছে। ভাবগম্ভীর ভবনটির মধ্যস্থভাগ 45.50 মিটার উচ্চ। গির্জার অভ্যন্তরটি সুন্দর মোজাইক কারুকার্য এবং চিত্রকলার সঙ্গে খচিত। 136 মিটার উঁচু গম্বুজ থেকে, দর্শকরা চত্বরটির চিত্র অনুপম দৃ্শ্য উপভোগ করতে পারেন। কার্লো মাডের্নো অট্টালিকার সম্মুখভাগের প্রসারণ এবং যীশু খ্রীষ্ট, ব্যাপ্টিস্ট জন এবং ঈশ্বরের বাণী প্রচারকদের প্রকান্ড মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে মাইকেল এঞ্জেলোর মূল ডিজাইনের কিছু পরিবর্তন করেছিলেন। উৎসাহের ব্যাপার হল, সূক্ষ্মাগ্র ক্ষুদ্র স্তম্ভশ্রেণীর উপর তিনি সেন্ট পিটার্সের মূর্তিটি স্থাপণ করেন নি। গির্জাটির অভ্যন্তরে কৌশলগতভাবে রক্ষাকর্তা সন্তের মূর্তিটি স্থাপণ করেছিলেন। পোপেদের কবরস্থানের নিম্নদেশে আচ্ছাদিত প্রাসাদটি, ভাটিকান গুহা নামেও অভিহিত।
ভ্যাটিকান সিটির, সেন্ট পিটার্স চার্চ পরিদর্শনকারীদের উদ্দেশ্যে উপদেশ :
গির্জাটি খ্রীষ্টধর্মের এক অন্যতম সম্পদ-ভান্ডার এবং এমন একটি অন্যতম স্থান যেখানে আপনি বারংবার যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করবেন।
সেন্ট পিটারের রাজপ্রাসাদটি ভাটিকান সিটির মধ্যে, ভাটিকান পাহাড়ের উপর অবস্থিত। গির্জাটি থেকে নিকটবর্তী রোম সিয়ামপিনো বিমানবন্দরটি 19.3 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত (ভায়া আ্যপিয়া নৌভা/এস.এস.7)। গির্জাটিতে পৌঁছানোর শ্রেষ্ঠ উপায় হল মেট্রোর মাধ্যমে। আপনি নিকটতম স্টেশন ওট্টাভিয়ানো-তে নামতে পারেন।
ঠিকানা : পিয়াজ্জা সান পিয়েত্রো, 00120 ভাটিকান সিটি।
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে এখানে কম ভিড় থাকে। আপনি যখনই ভ্রমণে আসুন, দিনের শুরুর দিকে ব্রাসিলিকা বা রাজপ্রাসাদটি পরিদর্শনে আসতে চেষ্টা করুন। এতে আপনি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার থেকে পরিত্রাণ পাবেন।
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গির্জাটি প্রতিদিন সকাল 7:00-টা. থেকে সন্ধ্যা 7:00-টা. পর্যন্ত এবং অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত গির্জাটি প্রতিদিন সকাল 7:00-টা. থেকে সন্ধ্যা 6:00-টা. পর্যন্ত উন্মু্ক্ত থাকে।
* সর্বশেষ সংযোজন : September 03, 2015