কাঠমান্ডু উপত্যকা তিনটি শহরের সমন্বয়ে গঠিত – যেমন কাঠমান্ডু, পাতন ও ভক্তপুর। কাঠমান্ডু হল নেপালের রাজধানী শহর এবং এটি দেশের পর্যটনের প্রবেশপথ। এটি নেপালের অর্থনীতির কেন্দ্র। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কাঠমান্ডুতে পর্যটন নিম্নগামী রূপ নিয়েছে, তবে এটির উন্নয়নে পুনরায় তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। কাঠমান্ডু উপত্যকা নিঃসন্দেহে নেপাল সহ তিনটি শহরের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিককে প্রভাবিত করে এবং ফলে এটি সাতটি পবিত্র-মন্দিরের সমন্বয়ে গঠিত। এই সাতটি পবিত্র-মন্দির একসঙ্গে ইউনেস্কো (ইউ.এন.ই.এস.সি.ও) দ্বারা বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান-এর মধ্যে তালিকাভুক্ত। উপত্যকাটি বহু স্মৃতিস্তম্ভ ও ভাস্কর্যের সমন্বয়ে গঠিত।
নেপালের, কাঠমান্ডু এমন একটি শহর যেটি প্রাচীন ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ এবং একই সঙ্গে প্রযুক্তিগতভাবেও খুবই উন্নত। শহরটিতে শশব্যস্ততার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও, এই অঞ্চলের মানুষ এখনও অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ বা বন্ধুত্ববৎসল। এখানে এমন বেশ কিছু আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে যেগুলি পর্যটকেরা পরিদর্শন করতে পছন্দ করবেন – এর মধ্যে কাঠমান্ডু দরবার চত্বর, আকাশ ভৈরব, আশান হল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কাঠমান্ডু উপত্যকায় অন্তর্ভূক্ত আরেকটি শহর পাতন, যা “ললিতপুর” নামেও পরিচিত। এটি কাঠমান্ডু থেকে প্রায় 5 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি হল সুন্দর সূক্ষ কারিগরদের আবাসস্থল, যাঁরা এখনও ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে প্রাচীন কৌশল অবলম্বন করেন। মহাবৌদ্ধ হল পাতনের একটি বৌদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, যেটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর। এখানে ভগবান বুদ্ধের হাজার হাজার ছবি খোদিত আছে। এছাড়াও অন্যান্য আরোও কিছু স্থানগুলির মধ্যে কূম্ভেশ্বর, জগৎ নারায়ণ ও অশোক স্তূপ সমৃদ্ধ ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত।
ভক্ত বা উপাসকদের শহর ভক্তপুরও হল কাঠমান্ডু উপত্যকার একটি অংশ। এই অঞ্চলটি নগরায়ন থেকে দূরে রয়েছে এবং সেখানে প্রাচীন সড়ক ও লাল ইঁটের তৈরি ইমারতগুলি অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
এই অঞ্চলের ক্যাসিনো এবং নিশিজীবন কখনই পর্যটকদের নিরাশ করবে না। এছাড়াও নেপাল একটি সুন্দর কেনাকাটার গন্তব্যস্থল।
নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকা তিনটি শহরের সমন্বয়ে গঠিত এবং প্রত্যেকটিই নিরপেক্ষভাবে একে অপরের সান্নিধ্যেই অবস্থিত। পাতন, কাঠমান্ডুর 5 কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বদিকে অবস্থিত, অন্যদিকে মহাসড়কের ওপর কাঠমান্ডু থেকে প্রায় 12 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভক্তপুর চীন সীমান্তের দিকে বর্ধিত রয়েছে।
কাঠমান্ডু উপত্যকা মনোরম আবহাওয়া উপভোগ করে যা প্রায় কখনই চরমে পৌঁছায় না। এটি কখনও 34 ডিগ্রী সেলসিয়াসের ওপরে ওঠে না এবং শীতকালে তাপমাত্রা 3 ডিগ্রী সেলসিয়াসের নীচে নামে না। অর্থাৎ বছরের যেকোনও সময়ই এখানে পরিভ্রমণের জন্য আদর্শ। তবে সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময় হল নিশ্চিতরূপে এই অঞ্চল পরিদর্শনের সেরা সময়, কারণ এই সময় এখানকার আবহাওয়া স্নিগ্ধ থাকে এবং বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।
নিকটবর্তী আকর্ষণ : বিদূর, পণৌতি, হেতৌদা, ছৌতারা ইত্যাদি।
* সর্বশেষ সংযোজন : September 08, 2015