ডুব্রোভনিক এক সুন্দর প্রাচীন শহর সহ এক অত্যাশ্চর্য শহর। এই অঞ্চল শতাব্দী ধরে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে আসছে এবং এই অঞ্চল এখানকার পিয়াজা এবং সরু সড়কের জন্য বিখ্যাত। এই পুরাতন শহর সম্পর্কে একটি সেরা বৈশিষ্ট্য হল এই শহরের প্রতিটি পদে আপনি কিছু না কিছু নতুন উপলব্ধি করবেন। পর্যটকরা মর্নিং মার্কেট থেকে স্থানীয় হস্তশিল্প বা তাজা ফল কেনাকাটা করতে পারেন।
নিঃসন্দেহে ফ্রান্সিসকান মনাস্ট্রির আশ্রমের একটি দর্শন প্রাপ্য, এটি তার নির্মলতা এবং 1317 সালের প্রাচীন বিশ্বের প্রাচীনতম ফার্মেসীর জন্য বিখ্যাত।
এখানকার অন্যান্য আকর্ষণের মধ্যে বারোক ক্যাথিড্রাল এবং ট্রেজারি অবশ্য দর্শনীয়। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের পাশাপাশি এই শহর পর্যটকদের রৌদ্র, সমুদ্র, নৈশজীবন এবং আন্তর্জাতিক খাবার সহ বহু বিখ্যাত রেস্তোরাঁ প্রদান করে থাকে।এই অঞ্চলে পর্যটকদের উপভোগ করার মত বহু চমৎকার সমুদ্র সৈকত রয়েছে এবং ডুব্রোভনিকের কোথাও কোথাও উপকূল বরাবর সাঁতার এবং রৌদ্রস্নান উপভোগ করতে পারেন। লোকরাম দ্বীপ বিশেষ করে স্থানীয় এবং পর্যটকদের জন্য সাঁতার কাঁটার একটি জনপ্রিয় স্থান।
গ্রীষ্মকালে এই শহরে উপভোগ করার মত বহু কিছু রয়েছে বিশেষত জুলাই ও আগস্ট মাসে এখানে কিছু গ্রীষ্মকালীন অনুষ্ঠান এবং ব্যালে অনুষ্ঠিত হয়।
এই শহরের কিছু অংশ ক্রোয়েশীয় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্থ হয় যা পরে পুনঃ সংস্কার করা হয় তবে এখানকার পরিবেশ এখনও উষ্ণ এবং স্বাগতপূর্ণ। ডুব্রোভনিকে এরকম বহু গাইড পাওয়া যায় যারা আপনাকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এই পুরানো শহরের পরিদর্শন করাবে।
ডুব্রোভনিক আড্রিয়াটিক সাগর জুড়ে ইতালির পূর্ব উপকূল থেকে ক্রোয়েশিয়া দেশে অবস্থিত। ক্রোয়েশিয়ায় দক্ষিণ ইউরোপের আড্রিয়াটিক সাগরে দীর্ঘতম উপকূল রয়েছে এবং এটি হাঙ্গেরি এবং সার্বিয়া সহ পাঁচটি দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।
জুলাই ও আগস্ট মাসে আবহাওয়া খুবই আরামপ্রদ থাকে এবং বেশিরভাগ পর্যটন এই সময়েই হয়। উত্তর ক্রোয়েশিয়ায় একটি মহাদেশীয় জলবায়ু রয়েছে অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকা একটি ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অধিকারী।
নিকটবর্তী আকর্ষণ: পোড়ি, গালো, কুম্বোর, রিসান
* সর্বশেষ সংযোজন : November 18, 2015