কর্ণাকের মন্দির হল স্থাপত্য-কাঠামো ও বৈশিষ্ট্যের শ্রেণীবিন্যাসে নির্মিত একটি সুবিশাল ইমারত ভবন। প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি মন্দিরের শহর যা 2000 বছরেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছে। এই অঞ্চলটি এখনো আধুনিক বিশ্বের বেশ কিছু সবচেয়ে জনপ্রিয় বিস্ময়ের ছায়াচ্ছন্নতার তদারকি করে চলেছে এবং সেই সময়ের সম্ভ্রম দীপক আজও উদ্ভাসিত রয়েছে। কর্ণাক প্রায় 200 একর এলাকায় আবৃত এবং এটি সমস্ত ধর্মীয় ভবনগুলির জন্মদাত্রী। 4,000 বছরেরও বেশী সময় ধরে এটি তীর্থযাত্রার জন্য একটি স্থান হয়ে আসছে, তবে আজকের দিনে প্রধান তীর্থযাত্রী হল কেবলমাত্র পর্যটক।
কর্ণাক মন্দির চারটি প্রধান অংশের সমন্বয়ে গঠিত। বৃহত্তম অংশটি আমূন-রে এর এক্তিয়ারে আছে। এটিতে স্ফিংক্স এভ্যিনিউ-এর মাধ্যমে প্রবেশ করতে হয়। প্রথম তোরণটি হল মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার, যেটি ঈথিওপিয়ান রাজাদের দ্বারা খ্রীষ্টপূর্ব 656 শতকে নির্মিত হয়েছিল। তোরণটি প্রবেশদ্বারের একটি সুবিশাল ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত। হাইপোস্টাইল সভাগৃহটি হল মন্দিরটির এক আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য, যা দুটি তোরণের মধ্যবর্তী স্থান দখল করে আছে। এর নির্মাণকার্য 1290 – 79 –র মধ্যবর্তী সময়কালে সেতি I-এর রাজত্বকালে শুরু হয়েছিল এবং এই সভাগৃহটির আয়তন হল প্রায় 54,000 বর্গ ফুট।
যে সমস্ত স্থপতিবিদ এটিকে সংরক্ষণ করতে চান তাদের জন্য এই স্থানটি অনিশ্চয়তা প্রমাণ করেছে।অপর্যাপ্ত ভিত-প্রতিস্থাপণ ও সেইসঙ্গে বার্ষিক বন্যার দরুণ আর্দ্রতা বালিপাথরের অবক্ষয়ের সমস্যাজনিত কারণ। মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ এই স্থানের একটি চলমান বা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
কর্ণাক মন্দিরটি মিশরের লাক্সারে নীল নদের তীরে অবস্থিত।
মিশর পরিভ্রমণে যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময় হল হয় শরৎকাল নয়তো বসন্তকাল, কারণ এই সময় এই অঞ্চলে আবহাওয়া বেশ মনোরম অনুভূতি প্রদান করে। জুন থেকে আগস্ট মিশর গুমোট ও প্রখর উষ্ণ হয়ে ওঠে, সুতরাং পরিদর্শনের জন্য গ্রীষ্মকাল এড়িয়ে চলাই উচিৎ।
কর্ণাক মন্দির সকাল 6:00-টা. থেকে বিকেল 5:00-টা. পর্যন্ত খোলা থাকে।
এই মন্দির প্রাঙ্গনে প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য হল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য 65 LE এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য 35 LE. উন্মুক্ত মিউজিয়ামে প্রবেশের জন্য যথাক্রমে বাড়তি 35 LE এবং 15 LE মূল্য দিতে হয়।
নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে : ভ্যালি অফ দ্য ক্যূইনস, লাক্সার মিউজিয়াম, থেবান সমাধিক্ষেত্র।
* সর্বশেষ সংযোজন : December 10, 2015