গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের প্রবেশদ্বার হল ইন্দো-সারসেনিক স্থাপত্য শৈলীর এক চমৎকার উদাহরণ, যেটি “ফিল্ম সিটি” বা “চলচ্চিত্রের শহর”-এর পর মুম্বাই-য়ের দ্বিতীয় ল্যান্ডমার্ক। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার নির্মানকার্য শুরু হয়েছিল 1913 সালের 31-শে মার্চ। 1914 সালের আগস্ট মাসে, জর্জ উইট্যেট-এর নকশা, নির্মাণের জন্য অনুমোদন পায়। 1915 থেকে 1919 সাল পর্যন্ত, অ্যাপোলো জেটি পুনর্নবীকরণের কাজ সংঘটিত হয় এবং একটি নতুন সাগর প্রাচীর নির্মিত হয়। প্রকাণ্ড পরিকাঠামোটির ভিতস্থাপণের কাজ 1920 সালে সম্পূর্ণ হয়।
মুম্বাই-এর গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের প্রবেশদ্বার, হলুদ খারোদি ব্যাসাল্ট ও শক্তিবদ্ধ কংক্রিটে নির্মিত। স্মৃতিস্তম্ভের কেন্দ্রীয় গম্বুজটি 48 ফুট পরিধির বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ বিন্দু পর্যন্ত এর উচ্চতা হল প্রায় 83 ফুট। এটিতে বিজড়িত জাফরির কাজও রয়েছে। গেটওয়ে খিলানের পিছনে সাগর পর্যন্ত সিঁড়ি রয়েছে। নির্মাণকার্য 1924 সালে সম্পূর্ণ হয়। ভারতের তৎকলীন ভাইসরয় 1924 সালের 4-ঠা ডিসেম্বর গেটওয়েটির উদ্বোধন করেন।
কোলাবা জেলার আরব সাগর সংলগ্ন অবস্থানের দরুণ গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া চিত্র অনুপম দৃশ্যের উপস্থাপনা করে। আমরা যদি আমাদের ঐতিহাসিক অতীতের অনুসন্ধানের করি, তবে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারব যে, এই স্মৃতিস্তম্ভ ভারতে ব্রিটিশ রাজের আড়ম্বরতার প্রতীক।
এই স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণের জন্য ব্যয় হয়েছিল (প্রায় 21 লক্ষ টাকা), যেটি ভারত সরকার দ্বারা বহন করা হয়েছিল। এই স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ হতে প্রায় 4 বছর সময় লেগেছিল।
আপনি গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের চাঞ্চল্যপূর্ণ কার্যক্রমের, ইচ্ছাপূরণ করতে পারেন :
গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া, ছত্রপতি শিবাজী টার্মিন্যাল থেকে ২.৫ কিলোমিটার ও চার্চ গেট থেকে ২.৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাতের দিকে ট্রাফিক কম থাকায়, বিমানবন্দর থেকে আপনার গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ায় পৌঁছাতে ৪০ মিনিট সময় লাগে, তা নাহলে পৌঁছতে প্রায় ৯০ মিনিট সময় লাগে। মুম্বাই-এ ভালো পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে; সুতরাং স্মৃতিস্তম্ভ বা মনুমেন্টটিতে পৌঁছাতে আপনাকে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। আপনি এক্ষেত্র্রে কোনও ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন, বা কোনও বাস অথবা লোকাল ট্রেনে ভ্রমণের মাধ্যমেও পৌঁছাতে পারেন।
ঠিকানা : আ্যপোলো বন্দর, কোলাবা, মহারাষ্ট্র – 400001
যেহেতু বর্ষা-পরবর্তী মরশুম খুবই মনোরম, তাই স্মৃতিস্তম্ভটি পরিদর্শনের সেরা সময় হল অক্টোবর থেকে মার্চ।
যেহেতু এটি 24 ঘন্টা খোলা থাকে, তাই জনসাধারণ দিনে যে কোনও সময় গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের প্রবেশদ্বারটি পরিদর্শনে যেতে পারেন।
নিকটবর্তী আকর্ষণ : এলিফ্যান্টা গুহা, জুহু সৈকত, ঝুলন্ত উদ্যান, সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যান ও তাজ মহল প্যালেস হোটেল।
* সর্বশেষ সংযোজন : July 09, 2015