মারাকেশ শহর পরিদর্শনের কথা চিন্তা করলে লোকজনের মাথায় প্রথম যে বিষয়টি আসে সেটি হল শহরের চত্বর এবং বাজার এলাকা জেম্যা ঈল-ফ্না। তবে, মারাকেশ-এ অবকাশ যাপন হল এর চেয়েও অনেক বেশি।
এই শহর তাদের পরিদর্শনের জন্যই উপযু্ক্ত, যারা বিভিন্ন সংস্কৃতির জীবনযাত্রার অভিজ্ঞতা নিতে পছন্দ করেন। মারাকেশ-এ সমু্দ্রসৈকত ও সুইমিং পুল সহ বহু হোটেল রয়েছে যা পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন, তবে যারা এই স্থানের স্থানীয় খাবারের সাথে পরিচিত হতে চান এবং কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন সম্ভবত তারাই এই গন্তব্যস্থলটিকে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবেন।
কেনাকাটা: ক্রেতাদের জন্য সত্যিই এটি একটি স্বর্গোদ্যান। সৌকের মধ্যে কেনাকাটা হল সারাজীবনের জন্য এক অভিজ্ঞতা। দর কষাকষির কলাকৌশল হল শিহরণের এক অংশ, যা এই শহরে খুবই সম্ভব।
খাবার: পর্যটকরা মরক্কোর স্ট্রীট ফুড উপভোগ করতে পারেন, যা আপনি মারাকেশে থাকাকালীন পরীক্ষামুলক পরখ করে দেখতে পারবেন। তবে, অনেকে বলেন যে পর্যটকদের দ্বারা জনাকীর্ণ স্টলগুলিকে এড়িয়ে চলাই উচিৎ কারণ ওই স্টলগুলি স্থানীয় এবং সন্তুষ্টিজনক খাবার পরিবেশন নাও করতে পারে।
এটি মনে রাখা অপরিহার্য যে মারাকেশ হল সাংস্কৃতিক তাৎপর্য্যময় একটি শহর, সুতরাং আপনি এই শহরে অবকাশ যাপনের সময়, উদ্ঘাটন ও পর্যবেক্ষণের প্রচুর কিছু খুঁজে পাবেন। রোমাঞ্চে পরিপূর্ণ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে সমৃ্দ্ধ এটি এমন একটি শহর যেখানে আপনি এসব ছাড়াও সাহারা মরুভূমির অভিজ্ঞতা উপলব্ধতায় উটের পিঠে সফরের আনন্দ নিতেও সক্ষম হবেন।
বিলাসিতা এবং বাজেটের ভারসাম্যের সঙ্গে যুক্ত মারাকেশের মানুষদের আন্তরিকতা কিভাবে মরক্কোর এই শহরকে অতিরিক্ত বিশিষ্ট করে তুলেছে তা প্রদর্শন করায়।
এই শহরটি আ্যটলাস পর্বতমালার পাদদেশে আচ্ছাদিত রয়েছে এবং এটি মরক্কোর দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এটি টাঙ্গিয়ারের প্রায় 360 মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। মরক্কো নিজেই উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরকে সীমান্তবর্তী করেছে। মারাকেশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইউরোপীয় গন্তব্যস্থলগুলির সঙ্গে বিমান পরিষেবায় যুক্ত রয়েছে এবং এটি বেশ ব্যস্ত থাকে।
সেপ্টেম্বর থেকে মে মাসের মধ্যবর্তী সময়ে মারাকেশ পরিদর্শনে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এই সময় আপনি প্রখর তাপ ও সেইসঙ্গে জনতার ভিড় এড়াতে সক্ষম হবেন। তবে, আপনি যদি মারাকেশ-এর বার্ষিক কিছু কার্যক্রমে যোগ দিতে চান, তবে কিন্তু সেগুলি গ্রীষ্মের সময় অনুষ্ঠিত হয়; যেমন ফ্যান্টাসিয়া, মারাকেশ-এর জনপ্রিয় শিল্পকলা উৎসব ইত্যাদি। সুতরাং এই সমস্ত ব্যাপারগুলির কথা মাথায় রেখেই আপনার এই শহরে সফরের পরিকল্পনা করা অপরিহার্য।
নিকটবর্তী আকর্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে : ইউশোফিয়া, চিকাওয়া, সিডি রাহ্যাল, বেন্ গুয়েরির।
* সর্বশেষ সংযোজন : September 08, 2015