জননী জন্মভূমি অথবা দ্য মাদারল্যান্ড কলস্ বা রাশিয়ার মাময়েভ স্মৃতিসৌধটি হল স্তালিনগ্রাড যুদ্ধের সূত্রপাতে আকাশের দিকে তলোয়ার উত্থাপিত এক নারী মূর্তি। এছাড়াও মূর্তিটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সোভিয়েতের বিজয় প্রতীক হিসেবে কাজ করে, যাতে রেড আর্মি জার্মান সৈন্যদের পরাজিত করে। মূর্তিটির নামের আরোও আক্ষরিক অনুবাদ হল “আমার জন্মদাত্রী মাতৃভূমি আমাকে আহ্বান করছে”, যাতে রুপকধর্মী মাতা রাশিয়ার উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্মাণের সময়, এই 85 মিটার লম্বা (279 ফুট) এবং 8,000 টন্ ওজনের ভারী স্মৃতিসৌধটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভাস্কর্য্য ছিল। স্থপতিবিদ ইয়েভগেনী ভূচেটিক, স্থানীয় মডেল ভ্যালেন্টিনা ঈজোটোভাকে, ভাস্কর্য্যটির ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করেন। স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণে তারের দড়ি সহ পূর্বপ্রতিবলিত কংক্রিট ব্যবহৃত হয়।
মূর্তিটি, একজন মা তাঁর সন্তানদের রুখে দাঁড়িয়ে এবং মাতৃভূমির জন্য সংগ্রামের আহ্বান জানানোর এক অভিব্যক্তিসহ বৈশিষ্ট্যযুক্ত রয়েছে। বলিষ্ঠ শক্তিশালী বাহুযুগল, আহ্বান মূখর অভিব্যাক্তিতে উন্মুক্ত মুখে চিৎকার এবং মূর্তিটির চেহারা ক্ষমতার একটি অনুভূতি তৈরি করে। মূর্তিটি সকল মরশুমেই শ্রেষ্ঠ দেখতে লাগে। মূর্তিটির চারপাশে রয়েছে স্মারণিক ভবন, যার মধ্যে সেনাপতি ভাসিলী চুইকোভের সমাধিপ্রস্তর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
স্থানটির ক্রমবর্ধমান জলের স্তরে এটি বিধ্বস্ত হয়ে পড়তে পারে, তাই মূর্তিটির নির্মাণকার্য তুলনামূলকভাবে দ্রুতিগতিতে-সম্পন্ন করা হয়েছিল। বর্তমানে নির্মাণটি খাড়া অবস্থায় আনার জন্য পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
জননী জন্মভূমি স্মৃতিস্তম্ভটি, ভলগোগ্র্যাড (স্তালিনগ্রাড) শহরে, মাময়েভ কূর্গান নামক উচ্চতার উপর অভিহিত, সংগ্রামের যুদ্ধক্ষেত্রের সংগ্রামের সূচনাস্হান হিসাবে স্মরণীয়। পূর্বে স্তালিনগ্রাড নামে অভিহিত ভলগোগ্র্যাডের শহরটি, দক্ষিণ রাশিয়ার ভলগা নদী বরাবর অবস্থিত। ভলগোগ্র্যাড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আপনি একটি ট্যাক্সি নিয়ে মূর্তিটিতে পৌঁছাতে পারেন।
উষ্ণ ও মনোরম আবহাওয়া এবং কম বৃষ্টিপাতের শর্তে, মে, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর হল ভলগোগ্র্যাড পরিদর্শনের সেরা সময়।
নিকটবর্তী আকর্ষণ : প্যানোরোমা মিউজিয়াম, ভলগা নদী।
* সর্বশেষ সংযোজন : October 07, 2015