স্কটল্যান্ডকে একটি প্রতিশ্রুতিময় ভবিষ্যৎ প্রদান করার কথা মাথায় রেখে, গ্লাসগো সায়েন্স সেন্টার দর্শকদের এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং উৎসাহী অভিজ্ঞতা প্রদান করে। এই মিউজিয়াম ভবন আধুনিক উপকরণ দ্বারা তৈরি, যেমন - টাইটেনিয়াম এবং অ্যালুমিনিয়াম। এই ধরনের এক অন্যতম মিউজিয়াম স্কটল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ মিলেনিয়াম প্রকল্প। এটি স্কটল্যান্ডের এক প্রায়শই পরিদর্শিত গন্তব্যস্থল। এই মিউজিয়ামে একবার পদার্পণ করলে আপনার ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখানে অতিবাহিত করতে ইচ্ছা হবে এবং এখানে সব বয়সের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণ রয়েছে।
আইম্যাক্স থিয়েটার এবং তারামণ্ডল : এই মিউজিয়াম এই দেশের প্রথম আইম্যাক্স থিয়েটারের আবাসস্থল। ডিম্বাকার – টাইটেনিয়াম আচ্ছাদিত থিয়েটারটির একটি আকর্ষণীয় সৌন্দর্য রয়েছে। এই থিয়েটারে 40 থেকে 45 মিনিটের ছোট-ছোট শিক্ষামূলক ছায়াছবি সঞ্চালিত হয়। এই তারামণ্ডলের 9,000-টি ঝিকিমিকি তারার দিকে একদৃষ্টিতে তাকালে আপনি চকিত হয়ে উঠবেন। প্রথমত দর্শকরা আশ্চর্যের সাথে দেখে। দর্শকরা আশ্চর্যের সাথে এটি দেখে ও দর্শকদের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়, যেমন “সেস্ট ইনক্রয়েবেল”, “দাস ইস্ট এস্টনলিচ”, “ইসো ই ইনক্রিভেল” – যার অর্থ হল এটি আশ্চর্যজনক।
সায়েন্স মল : এই মলের মেঝে থেকে জানালা ও ছাদের চিত্র শিশুদের সন্ধানী মনকে বহু প্রাচুর্যময় উপাদান প্রদান করে। এই মলের তিনটি তলাতেই আকর্ষণীয় চিত্র প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এখানকার প্রতিটি প্রদর্শনী আপনাকে সত্যিই আকর্ষণ করবে। এই মলের প্রত্যেকটি নিদর্শনের একটি চুম্বকিত প্রভাব রয়েছে।
গ্লাসগো টাওয়ার : 127 মিটার লম্বা গ্লাসগো টাওয়ার দেশের সর্বোচ্চ দণ্ডায়মান পরিকাঠামো এবং বিশ্বের একমাত্র সম্পূর্ণ ঘূর্ণায়মান ভবন। এই টাওয়ার রিচার্ড হরডেন অ্যাসোসিয়েটসের একটি পরিকল্পনা ছিল। এই টাওয়ারের আবর্তন বায়ু প্রবাহের উপর নির্ভর করে। এই টাওয়ার শীতকালে বন্ধ থাকে। গ্রীষ্মকালে যখন এই টাওয়ারটি উন্মুক্ত হয় তখন এই টাওয়ার থেকে শহরের একটি সমগ্র দৃশ্য দেখা যায়।
ভার্চুয়াল সায়েন্স থিয়েটার : এটি দর্শকদের একটি 3-ডি আণবিক যাত্রায় নিয়ে যায়।
গ্লাসগো ভ্রমনের সময়ে পরিদর্শন করতে ভুলবেন না – কেলভিনগ্রুভ আর্ট গ্যালারি অ্যান্ড মিউজিয়াম, ফেস্টিভাল পার্ক, ওয়েভারলি, কেলভিনগ্রুভ পার্ক। রিভারসাইড মিউজিয়াম: স্কটল্যান্ড’স ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রাভেল মিউজিয়াম এবং হান্টেরিয়ান মিউজিয়াম।
এই মিউজিয়াম স্কটল্যান্ডের বৃহত্তম শহর গ্লাসগোর ক্লাইড নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। গ্লাসগো সায়েন্স সেন্টার, গ্লাসগো বিমানবন্দর থেকে প্রায় 6.8 মাইল দূরে অবস্থিত। এম.8 (M8) রুটের মাধ্যমে এই মিউজিয়ামে পৌঁছাতে প্রায় 11 মিনিট সময় লাগে। এই মিউজিয়াম ট্রেন, গাড়ী, বাস এবং সাব-ওয়ের মাধ্যমে সহজেই প্রবেশযোগ্য।
ঠিকানা : 50 প্যাসিফিক কোয়ে, গ্লাসগো G51 1ই.এ., গ্রেট ব্রিটেন।
জিপ কোড : + 44 141 420 5000
গ্লাসগো পরিদর্শনের সেরা সময় হল আগস্ট থেকে মার্চ মাস, এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে। তখন এই শহর 15 ঘন্টার দিবালোক অনুভব করে।
এই মিউজিয়াম গ্রীষ্মকালে প্রত্যহ সকাল 10:00-টা. থেকে বিকাল 5:00-টা. পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালে এই মিউজিয়াম বুধবার থেকে রবিবার পর্যন্ত খোলা থাকে।
* সর্বশেষ সংযোজন : September 14, 2015