দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রধান জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষণ ক্রুগার জাতীয় উদ্যান হল বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণীর আবাসস্থল, যার মধ্যে রয়েছে সিংহ, হাতি, জিরাফ, গণ্ডার, জলহস্তী এবং আরও অনেক কিছু। দর্শকরা তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে প্রাণীদের দেখতে উদ্যানের কাছাকাছি সফরে যেতে পারেন এবং উদ্যানের অভ্যন্তরে যেকোনও শিবিরে রাতভর কাটাতে পারেন। এছাড়াও উদ্যানটি আফ্রিকার সবচেয়ে বৃহৎ পাঁচটি প্রাণীর আশ্রয়স্থল; যেমন হাতি, রাইনো বা গণ্ডার, সিংহ, চিতা এবং মহিষ। ক্রুগার জাতীয় উদ্যানটিতে সারাদিন ব্যাপী কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে।
উদ্যানটিতে বিকেলবেলার ক্রিয়াকলাপ :
সিংহরা অতিষ্ট হয়ে ওঠে যখন রাতের অন্ধকারে শিকার অনুসন্ধানে উৎসাহিত করতে সিংহী তার বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করে শক্তি সঞ্চার করে; চিতাবাঘেরা তাদের সারা দিনের বিশ্রাম থেকে জেগে ওঠে; হায়েনারা তাদের গুপ্ত ডেরা থেকে বেরিয়ে আসে; ওয়ার্টহোগ তাদের গুপ্ত আশ্রয়ের পথ তৈরি করে; বন্য কুকুরেরা খুবই সক্রিয় হয়ে ওঠে; চিতাদেরকে শিকারের অসংযত অবস্থায় দেখা যেতে পারে; ইম্পালারা তাদের পারিপার্শ্বিক উন্মুক্ত ক্ষেত্রে ঘোরাফেরা করে; বেবুনরা রাতের বিশ্রামের জন্য তাদের ডেরার দিকে এগিয়ে আসে, অন্যদিকে জেব্রারা কম ধরা পড়ার ন্যূনতম ঝুঁকির জায়গায় নিদ্রার জায়গা খোঁজে; এবং রাইনো বা গন্ডাররা আরোও সক্রিয়তার সঙ্গে হিংস্র হয়ে ওঠে।
উদ্যানটিতে সন্ধ্যাবেলা :
হাতিরা উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ায়, জলহস্তীরা চারণের জন্য নদী থেকে উঠে আসে, সিংহ, চিতাবাঘ, গেনেট ও সিভেট ইত্যাদিরা তাদের শিকার শুরু করে, হায়েনারা শিকার বা ময়লা সাফ করে; জিরাফ, ইম্পাল ও জেব্রারা নিদ্রায় চলে যায়, অন্যদিকে কৃষ্ণসার মৃগরা চারণভূমিতে ভক্ষণে অবিচল থাকে।
উদ্যানটিতে নিশীথ গভীর রাত্রিবেলা :
সিংহ ও হায়না তাদের শিকারে ব্যস্ত; হাতি, চিতাবাঘ ও বন্য কুকুরেরা এই সময় সাধারণত নিদ্রায় আচ্ছন্ন, ইম্পালা গভীর রাতের খাবারের জন্য জেগে ওঠে এবং বুশবেবীরা নিনাদ সৃষ্টি করে।
প্রাক-ভোরের বাতাবরণ :
ইম্পালারা বিশ্রামে চলে যায়, সিংহদের জলপান করতে দেখা যায় বা গর্তে তাদের শিকার ভোজনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়; বন্য কুকুর ও চিতাবাঘেরা শিকারের জন্য তৎপর হয়ে ওঠে এবং হায়নারা ময়লা সাফ করাতে ব্যস্ত থাকে।
ভোরবেলায় করণীয়তা :
চিতাবাঘ ও হায়না বিশ্রামে চলে যায়, জলহস্তীরা তাদের রাতের খাবার হজম করার জন্য নদীতে ফিরে আসে; বেবুনরা দেরী করে ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং সিংহরা রাতের শিকার ভোজনে ব্যস্ত থাকে। ক্রুগার জাতীয় উদ্যানের সফর উপভোগ করার জন্য, আপনি অবশ্যই একটি পরামর্শক সাফারি প্যাকেজ বুক করুন।
ইবোলা সতর্কতা :
দক্ষিণ আফ্রিকা এখনও পর্যন্ত 2014 সালে হঠাৎ করে আবির্ভূত হওয়া ইবোলা ভাইরাসের কোনও মামলা দায়ের করে নি। কেবলমাত্র 1976 এবং 2014 সলের মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা একটিমাত্র ইবোলা ভাইরাস মামলা দায়ের করে, সেটি ছিল জোহেনেসবার্গে 1996 সালে, যখন দু’জন ব্যাক্তি এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা খুঁজে পাওয়া যায় এবং তাঁদের মধ্যে একজন এতে মারা যান।
নিকটবর্তী আকর্ষণ : জোহেনেসবার্গ, কেপ টাউন, ডারবান্, মাশোরিনি এবং পিলগ্রিম’স রেস্ট।
ক্রুগার জাতীয় উদ্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব দিকে লিমপোপো ও ক্রোকোডাইল নদীর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। উদ্যানটি লেবোম্বো পর্বতমালার দ্বারা মোজাম্বিক প্রতিবেশী দেশ থেকে বিভাজিত হয়েছে। আপনি হয় ফালাবোরওয়া বিমানবন্দর নয়তো বা নতুন ক্রুগার/পিউমালাঙ্গা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কে.এম.আই.এ)-এর মাধ্যমে পৌঁছাতে পারেন। ভ্রমণার্থীরা গাড়ির মাধ্যমে আসতে পারেন এবং নয়টি প্রবেশদ্বারের মধ্যে যে কোনওটির মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারেন।
মে থেকে আগস্ট পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে শুষ্ক মরশুম থাকে, য এইসময় দক্ষিণ আফ্রিকায় শীতকাল বিরাজ করে। সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল, ভ্রমণার্থীরা ঝড়বৃষ্টি ও উষ্ণায়িত তাপমাত্রার অভিজ্ঞতার অনুভব নিতে পছন্দ করতে পারেন।
উদ্যানটিতে সারা বছর ধরে খোলা থাকার বিভিন্ন সময় রয়েছে :
* সর্বশেষ সংযোজন : December 10, 2015