এই গ্রহের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলির গণনা করার সময় গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ-এর কথা ভুলে গেলে চলবে না। এই বিশ্ব ঐতিহ্যপূ্র্ণ স্থানটি বিভিন্ন সম্ভাবনার সমাধা করে, যা পর্যটকেরা সেখানে অবস্থানকালীন উপভোগ করতে পারেন।
প্রবাল প্রাচীরটি মানুষজনের ক্রিয়াকলাপের ক্ষতিকর আশঙ্কায় সুসংরক্ষিত এবং জলাভূমি সংরক্ষণ ব্যবস্থারও উন্নতি করা হয়েছে। এই সুরক্ষা প্রাথমিকভাবে প্রয়োজন কারণ এই প্রাচীর অনেক উদ্ভিদ ও বন্য জীবজন্তুদের তথা প্রাকৃতিক জীবের আশ্রয়স্থল।
কখনও সিডনিতে গেলে, আপনি সহজেই যোগ্য বেসরকারী পরিবহন ব্যবস্থার সহায়তায় প্রবাল প্রাচীরে পৌঁছাতে পারেন, যেখানে চারপাশে পদভ্রমণ এবং জায়গার অন্বেষণ বেশ মজার। যদিও, গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ-এ অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট কিছু রয়েছে, তাই এই অঞ্চল সম্পর্কে জেনে নেওয়া এবং সেখানে আপনি কিরকমভাবে উপভোগ পছন্দ করবেন সেই ক্রিয়াকলাপের পরিকল্পনা করে নেওয়াটা গুরুত্বপূ্র্ণ।
গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ, যেটি মহাকাশ থেকেও দেখা যেতে পারে, শুধুমাত্র এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের উপলব্ধির সম্ভাবনার জন্যই মঞ্জুর নয় বরঞ্চ আর্লি সৈকতে আপনি যে কারোর সঙ্গে উৎফুল্লভাবে সময় কাটাতেও পছন্দ করবেন। আপনি এই অঞ্চলের বেশ কিছু শ্রেষ্ঠমানের হোটেলগুলিতে অধিষ্ঠান করতে পারেন বা প্রকৃতির সান্নিধ্যে তাঁবু বা শিবিরে থাকার বিকল্পটিও বেছে নিতে পারেন। প্রকৃতিকে উপভোগ করার আরেকটি উপায় হল ডেইনট্রি রেনফরেস্ট বা ডেইনট্রি চিরহরিৎ অরণ্যে ট্রেক বা ভ্রমণ করা। আপনি নির্জন সৈকতে সাঁতার কেটে এবং মহান দৃশ্য দর্শনের জন্য ভ্রমণ করে এই কোলাহলমূখর বিশ্বের মধ্যে নির্মলতার প্রশংসা করতে সক্ষম হবেন। ডেইনট্রি চিরহরিৎ অরণ্য থেকে একটি হেলিকপ্টারে চড়ে আপনি গ্রীন আইল্যান্ড বা সবুজ দ্বীপের দৃশ্য দর্শন করার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন (হেলিকপ্টার থেকে পৃথিবীর এই স্বর্গীয় দৃশ্যের দর্শনে সক্ষম হলে, তা উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে)।
এই প্রাচীরের সুবিশাল অঞ্চল (এটি ইতালীর চেয়েও আয়তনে বড়) এবং এই এলাকার ভিন্ন ভিন্ন পথের অন্বেষণে, একটি ফ্রি জোনিং মানচিত্র সঙ্গে বহন করা জরুরী; যেটি আপনাকে কোন্ জায়গায় অবস্থান করছেন এবং কোন্ জায়গায় যেতে পারেন তার পরিকল্পনায় সাহায্য করতে পারে।
গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ, অস্ট্রেলিয়ায় ক্যূইন্সল্যান্ড উপকূলীয় অঞ্চল বরাবর অবস্থিত। এটি তটরেখা বরাবর প্রায় 2300 কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত এবং কোরাল সী বা প্রবাল সমুদ্রে দেখতে পাওয়া যায়।
যেহেতু গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ-এর আবহাওয়া চরম নয় (খুব কম ঠান্ডা ও খুব কম গরম), তাই যেকোনও সময়েই এখানে পরিভ্রমণে আসা উপযুক্ত; কারণ সাঁতার ও পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ওয়্যাটার স্পোর্টস বা জল-ক্রীড়া সারাবছরই সম্ভাব্য নিরাপদ। তবুও, ব্যস্ততম মরশুম হল মে থেকে অক্টোবর; তাই এই সময় এলে সংরক্ষণ কঠিন হতে পারে এবং এসময় দামের হারও উচ্চতর হতে থাকে।
নিকটবর্তী আকর্ষণ : সিডনি, মেলবোর্ন, পার্থ, ব্রিসবেন, কেয়ার্নস।
* সর্বশেষ সংযোজন : July 22, 2015