ইন্ডিয়া গেট, দিল্লী

ইন্ডিয়া গেট – নতুন দিল্লীর গর্ব রাজপথের চৌমাথায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মহীয়ান খিলানপথ – ইন্ডিয়া গেট হল 70000 ভারতীয় সৈন্যদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত একটি যুদ্ধ স্মারক যারা প্রথম বিশ্বযু্দ্ধে সহযোগী সৈন্যবাহিনীর পক্ষ থেকে যুদ্ধে, তাঁদের জীবন বলিদান দেন। ইন্ডিয়া গেট-এর পূর্বকালীন নাম ছিল অল ইন্ডিয়া ওয়্যার মেমোরিয়াল বা সর্ব ভারতীয় যুদ্ধ স্মারক। স্থাপত্য ইন্ডিয়া গেট-টি, বিখ্যাত ইংরেজ স্থপতি স্যার এডউ্যইন লিউটিয়েন্স-এর দ্বারা পরিকল্পিত ছিল। ইনি নতুন দিল্লীর একটি বড় অংশের পরিকল্পনা করার জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। মহামান্য [...]Read More

জামা মসজিদ, দিল্লী

জামা মসজিদ – পুরনো দিল্লীর প্রধান মসজিদ দিল্লীর জামা মসজিদ, বিপূল সংখ্যক মসজিদের দেশ – ভারতের বৃহত্তম মসজিদ। এটি শাহজাহানের রাজত্বকালে নির্মিত স্থাপত্যের একটি সেরা নিদর্শন। মুঘল সম্রাট শাহজাহান, তাঁর চারুকলা ও স্থাপত্যের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য সুবিখ্যাত ছিলেন। শাহজাহানের রাজত্বকালে নির্মিত অন্যান্য স্মৃতিসৌধগুলির মধ্যে রয়েছে আগ্রার তাজমহল, লাল কেল্লা, আগ্রা ফোর্টের মোতি মসজিদ, জাহাঙ্গিরের সমাধি, ঠাট্টায় তাঁর নিজস্ব শাহজাহান মসজিদ। শাহজাহানের আমলে নির্মিত স্মৃতিসৌধগুলিকে সহজেই বলা যেতে পারে যে এগুলি তাদের চারুতা এবং বিজড়িত নকশা দ্বারা [...]Read More

হাওড়া ব্রিজ, কলকাতা

রাতের বেলায় আলোকিত হাওড়া ব্রিজ কলকাতায় ব্রিটিশ স্থাপত্য কর্মের আরেকটি শক্তিশালী অনুস্মারক বা স্মৃতিচিহ্ন হল হুগলী নদী (কলকাতায় গঙ্গা নামে পরিচিত)-র প্রস্থ জুড়ে প্রসারিত হাওড়া ব্রিজ – ইস্পাতের একটি দৈত্যকার প্রসারণ যা দুটি যমজ শহর হাওড়া ও কলকাতা (সেই সময় ক্যালকাটা নামে সুপরিচিত ছিল)- কে সংযুক্ত করেছে। তবে কলকাতার ঔপনিবেশিক স্থাপত্য থেকে আধ্যাত্মিক আলোড়ন, সমস্তকিছুর মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার একটা অভ্যাস রয়ে গেছে এবং সেগুলিকে তার নিজস্ব এক স্বতন্ত্র স্পর্শে অলঙ্কৃত করে তুলেছে। আন্তরিকতা ও আত্মবিশ্বাসের মধ্যে [...]Read More

হাওয়া মহল

হাওয়া মহল ভারতের, গোলাপী শহর জয়পুরের একটি প্রতিমূর্তি রূপে দাঁড়িয়ে আছে হাওয়া মহল, জয়পুর শহরের সবচেয়ে সম্ভ্রম উদ্রেককারী স্থান। এটি “প্যালেস অফ উইন্ডস” নামেও পরিচিত, কারণ এটিকে শীতল রাখতে জানালাগুলি হাওয়া-চলাচলর উপযুক্ত। প্রাসাদটিতে 953-টি পাথর খোদিত জানালা রয়েছে। আগেকার দিনে, রাজপরিবারের মেয়েদের সর্বজনের সামনে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হত না। রাজ পরিবারের মেয়েরা যাতে নিকটবর্তী অঞ্চল ও সরণীগুলির দৈনন্দিন কার্যকলাপ দর্শন করতে পরে অথচ অন্যরা তাদের দেখতে না পায়, সেই উদ্দেশ্যে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করা [...]Read More

গুলমার্গ, জম্মু ও কাশ্মীর

গুলমার্গ ভারতের একটি জনপ্রিয় স্কিইং গন্তব্যস্থল গুলমার্গ শহরটি, ভারতের সুদূর উত্তর প্রান্তের রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি এক অতুলনীয় সুন্দর শহর, যা শীতের সময় তার স্কিইং ঢালের জন্য বিখ্যাত এবং গ্রীষ্মকালে সুন্দর তৃণভূমি ফুলে প্রাঞ্জল বলে মনে হয়। গুলমার্গ-এর আকর্ষণ বাবা রেশির পবিত্র আধার (সমাধি): বাবা রেশি জিয়ারাত নামেও পরিচিত, এই পবিত্র আধারটি বাবা রেশির সমাধিস্থল, ইনি একজন শ্রদ্ধেয় মুসলিম সন্ত ছিলেন। বাবা রেশি, কাশ্মীরের রাজা জৈন-উল-আবেদিন-এর সভাসদ ছিলেন। সমাধিটি প্রায় 500 বছরের পুরনো। [...]Read More

গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া

মুম্বাইয়ের গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া হল একটি জনপ্রিয় স্মৃতিসৌধ ও অবশ্য দর্শনীয় পর্যটন আকর্ষণ। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া বা ভারতের প্রবেশদ্বার হল ইন্দো-সারসেনিক স্থাপত্য শৈলীর এক চমৎকার উদাহরণ, যেটি “ফিল্ম সিটি” বা “চলচ্চিত্রের শহর”-এর পর মুম্বাই-য়ের দ্বিতীয় ল্যান্ডমার্ক। গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার নির্মানকার্য শুরু হয়েছিল 1913 সালের 31-শে মার্চ। 1914 সালের আগস্ট মাসে, জর্জ উইট্যেট-এর নকশা, নির্মাণের জন্য অনুমোদন পায়। 1915 থেকে 1919 সাল পর্যন্ত, অ্যাপোলো জেটি পুনর্নবীকরণের কাজ সংঘটিত হয় এবং একটি নতুন সাগর প্রাচীর নির্মিত হয়। [...]Read More

গ্যাংটক, সিকিম

গ্যাংটক পর্বত ও উপত্যকার চমৎকার দৃশ্য প্রদান করে। গ্যাংটক, ভারতীয় রাজ্য সিকিমের রাজধানী এবং তার বৃহত্তম শহর। হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত এটি একটি কমনীয় এবং চিত্রোপম জায়গা। 1840 সালে শহরটি বেশ প্রভাবশালী হয়ে ওঠে, এনচ্যে মঠের নির্মাণের পর এটি একটি বৌদ্ধ তীর্থভূমি রূপে ঘোষিত হয়। 1894 সালে, চোগিয়াল বা সিকিমের শাসক তাদের রাজধানী গ্যাংটকে স্থানান্তরিত করেন। গ্যাংটক-এর আকর্ষণ গ্যাংটক ও তার পাশাপাশি পরিবেষ্টিত অঞ্চলগুলি বেশ সুন্দর এবং পাহাড় ও উপত্যকার চমৎকার দৃশ্য প্রদান করে এবং [...]Read More

ধরমশালা, হিমাচল প্রদেশ

ধরমশালা হল প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি নিখুঁত নিবৃত্তিস্থান। ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত ধরমশালা শহরটি, দলাই লামা-র আবাসস্থল হিসাবে সুপরিচিত। ফলস্বরূপ, তিব্বতীয় সংস্কৃতি এই অঞ্চলে বেশ বিশিষ্টভাবে প্রকট এবং পর্যটকরা প্রকৃতপক্ষে তিব্বতে না গিয়েই তিব্বতী সংস্কৃতির অনুভূতি গ্রহণের জন্য এই শহর পরিভ্রমণে আসে। ধরমশালার আকর্ষণ কাংড়া শিল্পের মিউজিয়াম : নামের বাস্তবিকতা অনুসারে, মিউজিয়ামটি বেশ কিছু কাংড়া-শৈলী শিল্পকর্মকে ধারন করে রয়েছে; যার মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র অঙ্কনচিত্র, মন্দিরের খোদাইকার্য, বুননকার্য, হাতিয়ার, পালকি, সূচিকর্ম এবং আরোও অনেক জিনিষ। সূগলাগখাঙ্গ [...]Read More

দার্জিলিং, পশ্চিমবঙ্গ

দার্জিলিং “পাহাড়ের রাণী” নামেও প্রসিদ্ধ রূপে সুপরিচিত। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে, দার্জিলিং শহর অবস্থিত। দার্জিলিং তার ভূ-প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা ও দার্জিলিং হিমালয় রেলওয়ের জন্য বিখ্যাত। দার্জিলিং-এর জনপ্রিয়তা ব্রিটিশ রাজের সময় থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এটি যখন তাদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে গড়ে উঠেছিল। আকর্ষণ দা্জিলিং-এ বেশ কিছু আকর্ষণ রয়েছে যেগুলি পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়, গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হল :- দ্য দার্জিলিং টয় ট্রেন: তর্কসাপেক্ষে দার্জিলিং-এর সর্বাধিক জনপ্রিয় আকর্ষণ হল টয় ট্রেন যা দার্জিলিং হিমালয়ান রেল দ্বারা পরিচালিত হয় [...]Read More